ছেলেটা দেখতে একেবারে রাজপুত্রের মতো । একটি ইংলিশ মিডিয়ামে কেজি টুতে পড়ে । বাবা জন্মের পর তার নাম রাখেন প্রেম । মা-বাবার প্রেমের নির্দশন বলেই হয়ত তারা এমন নাম রেখেছিলেন । বাবা মার আদরের ছেলে অল্প বয়সেই পড়ালেখায় তার দারুণ মেধার স্বাক্ষর রাখতে থাকে ।
একসকালে প্রেম দেখলো, তার বাবা নতুন কেনা গাড়ীটা খুব যত্ন সহকারে পরিস্কার করছেন । তার বাবা এই নতুন গাড়ীটা তার স্কুলে যাবার যাতে সুবিধা হয় সেজন্য কিনেছেন । প্রেম কী ভেবে দৌড়ে গ্যারেজে গেল । পাশে পড়ে থাকা একটা পাথর টুকরো উঠিয়ে গাড়ীর কাচের উপর আঁকতে শুরু করলো । এই দৃশ্য দেখে ক্রোধে ফেটে পড়লেন প্রেমের বাবা । তিনি চিৎকার করতে করতে একটা রেঞ্জ দিয়ে ক্রমাগত ওর নরম হাতে পেটাতে থাকলেন ।
ঘটনার ভয়াবহতায় হাসপাতালে নিতে হলো প্রেমকে । আহা ! সেখানে ডাক্তার ওর ডান হাতের একটা আঙ্গুলও রক্ষা করতে পারলেননা । নির্মম আঘাতের পরিণতিতে তার পাঁচটা আঙ্গুলই কেটে ফেলে দিতে হলো ।
হাসপাতালের কেবিনে যখন প্রেম তার বাবাকে দেখল, সে অশ্রুসিক্ত চোখে তাকে জিজ্ঞেস করলো-বাবা, আমার আঙ্গুল গুলো কখন আবার বেড়ে উঠবে ?
প্রেমের বাবা তখন এই আকুল জিজ্ঞাসার কোনো উত্তর দিতে না পেরে কাঁদতে কাঁদতে বাসায় ফিরে গাড়ীটার গায়ে লাথি মারতে মারতে বিবড়াতে থাকলেন । তিনি যখন লাথি মেরে মেরে ক্লান্ত তখন তিনি গাড়ীর স্ক্রেচটির দিকে ভালো করে লক্ষ্য করলেন । প্রেম কী আবেগে সেখানে লিখেছে-'আই লাভ ইউ বাবা ! '
তারপরদিন প্রেমের বাবা আত্নহত্যা করেন । ফ্যানের সাথে ঝুলার আগে অবশ্য তিনি দুকলম লিখে যান । আমরা ধরে নিতে পারি এটা তার লিখা শেষ চিরকুট । তিনি লিখেন-'
পৃথিবীটা ক্রোধের নয়, পৃথিবীটা প্রেমের । ব্যবহারের জিনিস স্রেফ ব্যবহারের জন্য । ভালোবাসার জন্যতো প্রিয়জন ! '
Gerst!
ReplyDelete